প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে অন্যতম হলো ভূমিকম্প। ভূমিকম্প হঠাৎ ই সংঘটিত হয়। এটি
সংগঠিত হওয়ার পূর্বে তেমন কোন পূর্বাভাস পাওয়া যায় না। সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া
ভূমিকম্পের ঘটনাটি খুবই বেদনাদায়ক। ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভূমিকম্প
হয়ে গেছে।
এ ভূমিকম্প সম্পর্কে স্মার্টফোনের মাধ্যমে সতর্কবার্তা পেলে আমরা আগে থেকেই সতর্ক
হতে পারব। স্মার্টফোনের মাধ্যমে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পাওয়া যাচ্ছে।
স্মার্টফোনের মাধ্যমে কিভাবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পাওয়া যাচ্ছে তা জেনে
নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ স্মার্টফোনের মাধ্যমে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
বর্তমান যুগে স্মার্টফোন প্রতিটি মানুষের হাতে হাতে রয়েছে। এই স্মার্টফোন এখন
আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্মার্টফোনে বিনোদন থেকে শুরু করে
নানা খবরাদি অফিসের সকল আপডেট বিষয় সম্পর্কে জানতে পারা যাচ্ছে।
পাশাপাশি এই স্মার্ট ফোনগুলো আমাদেরকে সাহায্য করছে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ
থেকে সতর্ক থাকার জন্য। বড় বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ গুলো থেকে আমরা স্মার্টফোনের
মাধ্যমে সতর্ক হতে পারি। এবং একটি সুস্থ জীবন যাপন করতে পারি।
স্মার্টফোনের মাধ্যমে এখন কম্পিউটারের সত্তর শতাংশ কাজ করা যাচ্ছে।
স্মার্টফোনের নতুন সব ফিচারগুলো আমাদের আরো বেশি আপডেট করে তুলছে। তারই মধ্যে
একটি হলো স্মার্টফোনের মাধ্যমে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পাওয়া।
ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পূর্বে থেকেই পাওয়া গেলে সতর্ক থাকতে পারবো এবং বড়
দুর্ঘটনা থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারবো। আজকাল স্মার্টফোনে বিভিন্ন অ্যাপস রয়েছে
সেই অ্যাপস গুলো ব্যবহার করে আমরা পূর্ব থেকে স্মার্টফোনের মাধ্যমে
ভূমিকম্পের সতর্ক বার্তা পেতে পারি।
এই অ্যাপস গুলো ব্যবহার করা খুবই সহজ। এবং এই অ্যাপস গুলো খুব সহজেই পেয়ে
যেতে পারি। কাজেই আপনার কাছে যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে তাহলে আপনি সেটিতে এই
অ্যাপসগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে,
খুব সহজে এই ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পেতে পারেন এবং নিজেদের জীবনকে বাঁচাতে পারেন। এই অ্যাপসগুলোর কার্যকারিতা খুব ভালোভাবে
প্রকাশ পেয়েছে।এবং এই অ্যাপসগুলো খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সতর্কবান মানুষের জন্য স্মার্টফোন ব্যবহার করে এ অ্যাপসগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে
খুব সহজেই ভূমিকম্প সম্পর্কে সতর্কবার্তা পেতে পারেন।এবার জেনে নেওয়া যাক সেই
সকল অ্যাপ সম্পর্কে যেগুলো স্মার্টফোনে ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি
ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পেতে পারেন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ সর্তকতা অ্যাপস এর মাধ্যমে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
আজকাল বিভিন্ন দেশ এ বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করছে এবং সেগুলোর অনুমতি দিচ্ছেন
জনগণদের ব্যবহার করার জন্য। অ্যাপ গুলো ভূমিকম্প থেকে নিজেদের বাচানোর
জন্য এবং অপরকে সতর্ক করার জন্য অগ্রিম সতর্কবার্তা হিসেবে ব্যবহার করা
হয়।
বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা দিয়ে
থাকছে।কোন কোন অ্যাপ রিয়েল টাইম ভূমিকম্প তথ্য সরবরাহ করে আবার কোন কোন অ্যাপ সেন্সর
হিসেবে কাজ করে ভূমিকম্পের সতর্ক বার্তা দিয়ে থাকে।
আবার কোন অ্যাপ এ আপনি ভূমিকম্প সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেতে পারেন।এমনও অ্যাপ আছে যারা ভূমিকম্পের কেন্দ্রের তথ্য বিশ্লেষণ করে আশেপাশের এলাকায়
বসবাসকারী জনগণকে সতর্ক করে থাকে। এবং নিজেরাও পদক্ষেপ গ্রহন অরে থাকে।
এই অ্যাপ গুলো বেশ কার্যকরি ভূমিকা রাখছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। এবং এই অ্যাপস
গুলো ব্যাবহার এর মাধ্যমে আমরা নিজেদের কে সতর্ক রাখতে পারছি। স্মার্ট যুগে
স্মার্ট অ্যাপস স্মার্ট দুর্যোগ সম্পর্কে সতর্ক করছে।
বাড়িতে যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে তাহলে সেগুলো তে খুব সহজেই এই অ্যাপস গুলো
ব্যবহার করে আপনি প্রাকৃতিক দূর্যোগ সম্পর্কে সচেতন থাকতে পারবেন। কেননা এই
অ্যাপস গুলো ব্যবহার করা খুবই সহজ। এবং ফোনে ইন্সটল করাও খুব সহজ।
এমনই নানা রকম অ্যাপ সম্পর্কে আপনাদের জানিয়ে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ
করব।এসব অ্যাপ আপনিও স্মার্টফোনে ব্যবহার করতে পারবেন। এবার জেনে নেওয়া যাক
বিস্তারিতভাবে সেই সকল অ্যাপের নাম এবং সেই সকল অ্যাপ কি কি কাজ করে থাকে সে
সম্পর্কে।
মাইশেক অ্যাপের মাধ্যমে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
মাইশেক অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পেতে পারেন এই অ্যাপটি
ব্যবহারের জন্য আপনাকে প্লে স্টোরে যেতে হবে। এবং কোন ধরনের পেয়ে না করেই আপনি
আপনার ফোনে এই অ্যাপটি ইন্সটল করতে পারেন।
এই অ্যাপটি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি ভূমিকম্প আসার কয়েক সেকেন্ড আগে
সতর্কবার্তা পেতে পারেন। ৪.৫ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
প্রদান করে এই অ্যাপটি। এই একটি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি ভূমিকম্পের প্রস্তুতির
জন্য নিরাপত্তার টিপ সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আপনি জানতে পারবেন বিপদজনক বা চলাচলযোগ্য আইটেম গুলি কিভাবে সুরক্ষিত
করা যায় এবং ভূমিকম্পের দুর্যোগ পরিকল্পনা তৈরি করতে পারবেন। এবং জানতে পারবেন
ভূমিকম্পের সময় আপনাকে কি করতে হবে।এই অ্যাপটি ব্যবহারের মাধ্যমে,
বিশ্বজুড়ে ভূমিকম্পের মানচিত্র দেখতে পারবেন এবং অন্বেষণ করতে পারবেন।একটি
ব্যবহারের মাধ্যমে ভূমিকম্পের মাত্রা অবস্থান এবং গভীরতার তথ্যও পেতে পারবেন।
আপনার নিজ এলাকায় ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে
পারবেন এবং কম্পন,
এবং ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন দেখতে পারবেন। এ একটি ব্যবহারের মাধ্যমে ভূমিকম্পের
খবর জানতে পারবেন এবং আপনার ফোনে বিজ্ঞাপন পাবেন। আপনি আপনার ইচ্ছামত অঞ্চল
সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং সে অঞ্চলে কত মাত্রার ভূমিকম্প হচ্ছে সেটি সম্পর্কে
জানতে পারবেন।
সর্বনিম্ন ৩.৫ মাত্রার চেয়ে বড় ভূমিকম্প নোটিফিকেশন আপনি পাবেন। এই অ্যাপটি
পেতে আপনি আপনার স্মার্ট ফোন এর প্লে স্টোর এ গিয়ে মাইশেক আর্থকুয়্যাক দিয়ে
সার্চ দিবেন। এবং ফ্রি তে ইনস্টল করতে পারবেন।
আর্থকুয়্যাক নেটওয়ার্ক অ্যাপের মাধ্যমে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
এটি একটি ভূমিকম্প থেকে বাঁচার সতর্কবার্তা স্বরূপ অ্যাপ। একটি ভূমিকম্পের
তরঙ্গের আগে সতর্ক করতে পারে। একটি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি অনুভূত ভূমিকম্প
সম্পর্কে জানতে পারবেন। এই অ্যাপটি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি ০.০ মাত্রা
থেকে শুরু করে জাতীয় এবং
আন্তর্জাতিক সিসমিক নেটওয়ার্ক থেকে ভূমিকম্পের তথ্য পেতে পারেন। এই অ্যাপটি
ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি ভয়েস সিন্সসাইজারের মাধ্যমে ভূমিকম্পের বিজ্ঞপ্তি
পেতে পারেন। এই অ্যাপটি আপনাকে রিয়েল টাইম ভূমিকম্প সনাক্ত করতে এবং সতর্ক
করতে সাহায্য করবে।
এই অ্যাপটি আপনার ফোনে থাকা এক ছিল মিটারের মাধ্যমে ভূমিকম্প সনাক্ত করে
থাকে। ভূমিকম্পের তরঙ্গ সীমিত গতিতে পাঁচ থেকে দশ কিলোমিটার পার সেকেন্ড
ভ্রমণ করে থাকে। তাই এই অ্যাপটি ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষতিকারক তরঙ্গ
অর্থাৎ
ভূমিকম্পের তরঙ্গ না পৌঁছানো স্থানের জনগণকে সতর্ক করতে পারে। আর্থকুয়্যাক
নেটওয়ার্ক অ্যাপটি খুবই কার্যকরী এবং জনপ্রিয় একটি অ্যাপ। এই অ্যাপটি
স্মার্টফোনের জন্য খুবই কার্যকরী এবং সহজলভ্য। এই অ্যাপটিও আপনি আপনার
স্মার্টফোনের প্লে স্টোরে গিয়ে ইন্সটল করতে পারেন। ভূমিকম্প সম্পর্কে আগাম
সতর্কবার্তা পাওয়ার জন্য এই অ্যাপটি বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।
মাই আর্থকুয়্যাক অ্যাপের মাধ্যমে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
মাই আর্থ কুয়াক একটি একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ এক যা
ব্যবহারের ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি ভূমিকম্প সম্পর্কিত সকল তথ্য
বিনামূল্যে পেয়ে যাবেন। এই অ্যাপটিতে একটি সুন্দর নকশা আছে যার মাধ্যমে
আপনি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ভূমিকম্পের তথ্য পেতে পারেন।
একটি লাইভ ভূমিকম্পের মানচিত্র দেখায় এবং এটির মাধ্যমে আপনি সারা
বিশ্বের ভূমিকম্প শনাক্ত এবং ট্র্যাক করতে পারবেন। কোন বিধি-নিষেধ ছাড়া
এই অ্যাপটির মাধ্যমে কাস্টমাইজ করা ভূমিকম্প সতর্কতা জানতে পারবেন।ভূমিকম্পের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন এই অ্যাপটি ব্যবহারের
মাধ্যমে।
ব্যবহারের মাধ্যমে ভূমিকম্পের সঠিক অবস্থান এবং গভীরতা সম্পর্কে জানতে
পারবেন। এবং আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্প থেকে আপনি কত দূরে
অবস্থান করছেন,সে সম্পর্কেও জানতে পারবেন এই অ্যাপটি ব্যবহারের মাধ্যমে।
ভূমিকম্পের আপডেট সব তথ্য এবং নোটিফিকেশন এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি
পেয়ে যাবেন। এই অ্যাপটি খুব সহজে আপনি আপনার ফোনের প্লে স্টোরে গিয়ে
পেতে পারেন। প্লে স্টোরে গিয়ে লিখুন মাই আর্থকুয়েক অ্যাপ। এবং আপনার
ফোনে ইন্সটল করে নিন।
এরপর খুব সহজেই আপনি ভূমিকম্প সম্পর্কে সতর্কবার্তা হিসেবে এই অ্যাপটি
ব্যবহার করতে পারেন।নিজে সতর্ক থাকতে এবং অন্যদের সতর্ক রাখতে এই অ্যাপ
গুলোর গুরুত্ব তুলনাহীন। এই অ্যাপ গুলো যেমন সহজলভ্য তেমনই ব্যবহারেও
সহজ।
ডিভভাইস সেলফি সেন্সসরের মাধ্যমে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
আজকাল যে সব স্মার্ট ফোন বের হয়েছে সেসব স্মার্টফোনের বেশিরভাগ এর মধ্যেই
ভূমিকম্প শনাক্ত করার জন্য সেন্সর থেকে থাকে। এসব সেন্সর ব্যবহারের মাধ্যমেও
ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পাওয়া যেতে পারে। এন্ড্রয়েড ফোনে ভূমিকম্প সনাক্ত
করার অথবা সতর্কতা লাভ করার উপায় হলো-
স্মার্টফোনে ভূমিকম্প এলার্ট পাওয়ার প্রথম শর্তই হল যেই স্মার্টফোনের
মাধ্যমে আপনি ভূমিকম্প পেতে চাচ্ছেন তাতে এন্ড্রয়েড ৫ অথবা তার চেয়ে
বেশি অপারেটিং সিস্টেম থাকা জরুরী।
স্মার্টফোনটিতে অবশ্যই ওয়াইফাই বা ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।
ভূমিকম্পের লোকেশন জানার জন্য অথবা আপনাকে সতর্কবার্তা প্রেরণ করার জন্য
গুগল যাতে আপনাকে শনাক্ত করতে পারে সেজন্য আপনার ফোনের লোকেশনটি অন রাখতে
হবে।
আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সেটিংস অপশনে গিয়ে সেখানে সেফটি এন্ড
ইমার্জেন্সি অপশনটি সার্চ করে বের করুন।
সেফটি অ্যান্ড ইমারজেন্সি অপশন এর ভেতরে গিয়ে আপনি আর্থকোয়েক অ্যালট
অপশনটি পাবেন। সে অপশনটি চালু করে দিন।
এবার আপনার এন্ড্রয়েড ফোনে বা স্মার্ট ফোনে ভূমিকম্প এলার্টটি পেয়ে
যাবেন।
ভূমিকম্প থেকে বাঁচার জন্য আগাম সতর্ক পাওয়া খুবই জরুরী।আপনি বিভিন্ন অ্যাপ
ব্যবহারের মাধ্যমে অথবা ওপরে বর্ণিত এই পদ্ধতি ব্যবহার করার মাধ্যমে
স্মার্টফোনে ভূমিকম্পের আগাম সতর্কবার্তা পেয়ে যাবেন। ভূমিকম্প সম্পর্কে
আগাম বার্তা পাওয়ার জন্য পদতি গুলো ব্যবহার করুন।
আইফোনের মাধ্যমে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
আইফোনের মাধ্যমে আপনি ভূমিকম্পের আগাম সতর্কবার্তা পেতে পারেন। কিন্তু
এন্ড্রয়েড ফোনে যে রকম আগাম সতর্কবার্তা পেয়ে যাবেন কারো উপর নির্ভর না
করেই আইফোনে সেটির ব্যতিক্রম।
কেননা আবহাওয়া দপ্তরের তথ্যের ভিত্তিতে আইফোনে
ভূমিকম্পে সতর্কবার্তা পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আপনি আইফোনের
মাধ্যমে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পেয়ে যাবেন।
আপনার হাতে যদি আইফোন থাকে সেই আইফোনের সেটিংস এর ভেতরে চলে যান।
আপনার সেই আইফোনের সেটিংস এর ভেতরে যাওয়ার পর নোটিফিকেশন অফ নামে একটি
অপশন পাবেন সেই অপশনটি ক্লিক করুন।
নোটিফিকেশনে ক্লিক করার পর ইমারজেন্সি এলার্ট অপশনটি চালু করে
দিন।
এটি চালু করার পর যদি কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসে তাহলে আপনার আইফোনে
সাইরেন বাঁচবে।
আইফোনে এই এলার্ট সিস্টেম চালু রাখলে আপনি যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের
সম্পর্কে আগাম তথ্য জেনে থাকবেন এবং সতর্ক হতে পারবেন। উপকূলবর্তী অঞ্চল
গুলোতে বসবাসকারী লোকদের জন্য বিশেষ করে এই অ্যালার্ট সিস্টেম চালু করা খুবই
জরুরী।
সামাজিক ও নিউজফিড মাধ্যমে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
যে কেউ চাইলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং নিউজফিডের মাধ্যমে ভূমিকম্পের
সতর্কবার্তা পেয়ে যাবেন। টুইটার,ফেসবুক,ইনস্টাগ্রাম ও অন্যান্য সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারি বা আপদকালীন সংস্থা কর্তৃক সতর্কবার্তা এসব
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়।
আজকাল বাংলাদেশের অধিকাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ও আই ফোন ব্যবহার করে
মানুষজন ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন। ফেসবুক ছাড়া বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম
তারা ব্যবহার করে থাকেন। এইসব প্লাটফর্মে সকল আপডেট তথ্যগুলো পাওয়া
যায়।
কোন দুর্যোগ অথবা ভূমিকম্পের মতো শক্তিশালী দুর্যোগগুলো যখন আগমন ঘটে
তখন দ্রুত এই মাধ্যমগুলোতে সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে। তাই সামাজিক ও নিউজফিড
ব্যবহারকারী মানুষগুলো সেই তথ্যগুলো দ্রুত জানতে পারে। এবং এর মাধ্যমে
সতর্ক হতে পারে।
সামাজিক মাধ্যম গুলোতে বিশেষ করে আজকাল ভিডিওর মাধ্যমেও এই তথ্যগুলো
জানানো হয়। আবার দেখা যায় সামাজিক মাধ্যম বলতে বিশেষত ফেসবুক
অথবা হোয়াটসঅ্যাপ মাধ্যমে কেউ তথ্য জানলে অপরকে সেটি দ্রুত ছড়িয়ে
দেয়।
এই তথ্যগুলো আদান-প্রদানের মাধ্যমেই যেকোনো দুর্যোগের সতর্কবার্তা
পাওয়া যায়। ঠিক তেমনি যদি ভূমিকম্প হয়ে থাকে তাহলে সেই সতর্কবার্তা এই
সামাজিক মাধ্যম গুলোর মাধ্যমে দ্রুত পাওয়া যেতে পারে। আবার অনেকে
নিউজফিডে বিভিন্ন দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা পোস্ট করে থাকেন। এসব
পোষ্টের মাধ্যমেও আমরা ভূমিকম্প সম্পর্কে আগাম সতর্কবার্তা পেয়ে যেতে
পারি।
স্মার্টফোনের মাধ্যমে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পেলে করণীয়
ভূমিকম্প সতর্কবার্তা যদি আপনি স্মার্টফোনের মাধ্যমে পেয়ে যান তাহলে
এরপর অবশ্যই আপনাকে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। সতর্কতা স্বরূপ প্রথমেই আপনাকে
নিরাপদ স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে। এমন সব স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করবেন
যেখানে বড় বড় দালানকোটার পরিমাণ খুবই কম
অথবা নেই বললেই চলে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে সতর্কবার্তা পাওয়ার পর
আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। আতঙ্কিত না হয়ে খুব শান্তভাবে সবাইকে বিষয়টি
সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। এবং সবাইকে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে যেতে হবে।
সবাইকে সতর্ক করার পর তারা যাতে আতঙ্কিত না হয় সেই বিষয়েও খেয়াল রাখতে
হবে।
প্রয়োজনীয় কিছু ফার্স্ট এইড চিকিৎসার যন্ত্রপাতি সাথে রাখতে হবে।
প্রয়োজনের কিছু শুকনা খাবার সাথে রাখতে পারেন। আপনার মোবাইল অথবা যেকোন
ডিভাইসের চার্জের দিকে খেয়াল রাখবেন। যাতে ভূমিকম্পের পরবর্তী অবস্থা
সম্পর্কে অবগত হতে পারেন এবং সবাইকে সতর্ক করতে পারেন।
ভূমিকম্পসংঘঠিত হলে করণীয়
ভূমিকম্প সংঘটিত হলে আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে।এ সময় প্রথমেই যে
কাজটি করতে হবে সেটি হলো আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। খুব শান্তভাবে সব
বিপদের সমাধান করতে হবে।এছাড়াও যে কাজগুলো আমরা করব সেগুলো
হলো-
ভূমিকম্প শুরু হয়ে গেলে যদি বাসায় থাকেন তাহলে বালিশ দিয়ে
মাথা ঢেকে নিয়ে শক্ত কোন টেবিল অথবা ডেস্কের নিচে আশ্রয় গ্রহণ
করবেন।
ঘরে অবস্থানকালে বিম অথবা কলাম অথবা পিলার ঘেঁষে আশ্রয়
নিবেন।
ভূমিকম্পের সময় যদি রান্নাঘরে থাকেন এবং রান্না করতে থাকেন
তাহলে রান্নার গ্যাসের চুলা বন্ধ করে বেরিয়ে আসতে হবে।
যদি শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করে এবং সে সময়
যদি ভূমিকম্প হয় তাহলে স্কুল ব্যাগ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখবে এবং
শক্ত বেঞ্চের নিচে অথবা টেবিলের নিচে আশ্রয় নিবে।
ভূমিকম্পের সময় বড় গাছ অথবা বিদ্যুতের খুটি গুলো ভেঙে যেতে
পারে। তাই ভূমিকম্প সংগঠিত হলে বড় গাছ অথবা বিদ্যুতের খুঁটি
থেকে দূরে থাকবেন।
সতর্ক হওয়ার পরেও যদি ভাঙা দেয়ালের নিচে চাপা পড়েন তাহলে
চুপচাপ থাকবেন নড়াচড়া করবেন না।
ভূমিকম্প হলে একবার যদি কম্পন হয়ে যায় তাহলে পরবর্তী কম্পন
হওয়ার আগেই নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করবেন।
ভূমিকম্প থামলে থাকা স্থানে আশ্রয় নিবেন।
ভূমিকম্পের সময় যদি গাড়িতে অবস্থান করেন তাহলে ভূমিকম্প না
থামা পর্যন্ত গাড়ির ভিতরেই অবস্থান করবেন।
এছাড়াও আমাদের যে বিষয়গুলোতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে সেটি
হলো প্রথমেই আমাদেরকে বিল্ডিং কোড মেনে বিল্ডিংগুলো নির্মাণ করতে
হবে। কেননা বিল্ডিং গুলো ভূমিকম্প সহিষ্ণু না হলে সেই বিল্ডিং গুলো
দ্রুত ভেঙে যায় এবং মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপরে নিয়ম গুলো মেনে
চলে আমরা ভূমিকম্পের সময় বড় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে পারি। এবং অপর
মানুষকেও বাঁচাতে পারি।
মন্তব্যঃ স্মার্টফোনের মাধ্যমে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
সম্প্রতি মিয়ানমারে বেশ বড় ধরনের একটি ভূমিকম্প ঘটে গেছে। পর দুটি
ভূমিকম্প তে কেঁপে গেছে মিয়ানমার। এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৭। এতে
বড় বড় বিল্ডিং গুলোর ধসে পড়েছে। ঢাকা সহ বাংলাদেশের বেশ কিছু
অঞ্চলেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাংলাদেশের অঞ্চলগুলো ভূমিকম্প ঝুঁকিপূর্ণ
অবস্থায় রয়েছে। তাই আমাদের উচিত হলো ভূমিকম্প সম্পর্কে সচেতন থাকা
এবং এর আগাম তথ্য পাওয়ার জন্য উপরে বর্ণিত পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করা।
ভূমিকম্প সম্পর্কে সচেতন হতে হলে আমাদের খবরের কাগজগুলো পরতে
হবে।
অথবা নিউজ দেখতে হবে। যেকোনো সময় বাংলাদেশেও বড় ধরনের
ভূমিকম্প হতে পারে। তাই উচিত হবে ভূমিকম্প সম্পর্কে সব ধরনের
প্রস্তুতি বজায় রাখা। নিজে সচেতন হওয়া এবং লোকজনকে সচেতন করা।
পাশাপাশি সমাজের লোককে ও সচেতন করা একান্তই জরুরী।
আমিন একটিভ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url