ঈদে ফ্যাশন হিসেবে জুতা ও ব্যাগ
ঈদ আসতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি আছে।প্রতিটি ঈদেই ফ্যাশন হিসেবে জুতা ও ব্যাগের তুলনা করা যায় না। নারী পুরুষ শিশুসহ সকলের জন্যই জুতা বিশেষ একটি ফ্যাশন।এবং নারীদের জন্য ব্যাগ ছাড়া যেন ফ্যাশন পরিপূর্ণ হয় না। এই ঈদে আপনি কোন কোন জুতা পড়তে পারেন,
এবং কোন কোন ব্যাগ এই ঈদে এসেছে সেগুলো সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন আজকের আর্টিকেল থেকে। যেহেতু ঈদের আর বেশি দেরি নেই তাই দেশের সব জায়গায় বিভিন্ন রকমের ব্র্যান্ডের জুতা বিক্রয় চলছে। একইভাবে ফ্যাশন হিসেবে এই ঈদে নতুন নতুন কিছু ব্যাগ বিক্রয় চলছে।চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ ঈদে ফ্যাশন হিসেবে জুতা ও ব্যাগ
- ঈদে ফ্যাশন হিসেবে জুতা ও ব্যাগ
- ঈদে ফ্যাশন হিসেবে শিশুদের জুতা
- ঈদে ফ্যাশন হিসেবে নারীদের জুতা
- ঈদে ফ্যাশন হিসেবে পুরুষের জুতা
- ঈদে ফ্যাশন হিসেবে সাধারন নকশা ও উজ্জ্বল রং করা ব্যাগ
- ঈদে ফ্যাশন হিসেবে মিডি বহুমুখী ব্যাগ
- ঈদে ফ্যাশন হিসেবে আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের মিশ্রনে তৈরি ব্যাগ
- ঈদে ফ্যাশন হিসেবে পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ
- ঈদে ফ্যাশন হিসেবে মেটালিক ও গ্লসি ফিনিশ ব্যাগ
- ঈদে ফ্যাশন হিসেবে জুতা ও ব্যাগ এর গুরুত্ব
- মন্তব্যঃ ঈদে ফ্যাশন হিসেবে জুতাও ব্যাগ
ঈদে ফ্যাশন হিসেবে জুতা ও ব্যাগ
ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হলো ঈদ। আর এই ঈদ ঘিরে চলে
নানারকম ফ্যাশনের বাহার।কেউ পছন্দ করে বিভিন্ন রকমের জামা কাপড় যেমন পাঞ্জাবি,
শার্ট, প্যান্ট। আবার মেয়েরা পছন্দ করে ফ্রক,থ্রি-পিস,পার্টি বোরখা
ইত্যাদি।
শিশুরাও তাদের ইচ্ছামত বিভিন্ন জামা কাপড় ফ্যাশন হিসেবে গ্রহণ করে। এতসব
ফ্যাশনের মধ্যে এইরে বিভিন্ন রকম জুতা এবং বিভিন্ন রকম ব্যাগ আপনি নিতে পারেন।
যখন আপনি বাইরে যাবেন তখন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বহন করার জন্য ব্যাগ
দরকার।
এই ব্যাগ যেমন নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বহন করাতে সাহায্য করছে ঠিক তেমনি
এর পাশাপাশি আপনার ফ্যাশনেও ভিন্নতা আনছে। এবং ফ্যাশনে এটি আপনার আকর্ষণটি
বাড়িয়ে দেয়। প্রতিটি ঈদে ভিন্ন ভিন্ন রকমের জুতা ও ব্যাগের ফ্যাশন
চলে।
তাই এই ঈদেও ভিন্ন রকমের জুতা ও ব্যাগের ফ্যাশন চলছে।ঈদের নানা রকম ফ্যাশন
ভিন্ন ভিন্ন মানুষকে ভিন্ন ভিন্ন আকৃতিতে সৌন্দর্য প্রকাশ করতে সাহায্য করে।এবং
ঈদের ট্রেনিং জানা থাকলে আপনি নিজেকে অন্যদের সাথে তুলনা করে আপডেট রাখতে
পারবেন।
আমরা আপনাকে জানিয়ে দেবো এই ঈদে কোন কোন জুতা ও ব্যাগের ফ্যাশন চলছে।এমন
ফ্যাশনেবল জুতা ও ব্যাগগুলো আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দোকান অথবা জুতার দোকান
থেকেই পেয়ে যেতে পারেন।এবার আলোচনা করা যাক বিভিন্ন রকম জুতা ও বিভিন্ন রকম
ফ্যাশনবল ব্যাগ সম্পর্কে।
ঈদে ফ্যাশন হিসেবে শিশুদের জুতা
শিশুরা সাধারণত আরাম প্রিয় হয়ে থাকে। এবং তাদের ফ্যাশনের তুলনায় আরামের
বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়। তাই তাদের জন্য জুতা কিনতে হলে সর্বপ্রথম
যে বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে দেখতে হয় সেটি হচ্ছে তারা জুতাটি পরে কমফোর্ট ফিল
করছে কিনা।
এরপর আসে সেই জুতাটি তাদেরকে মানিয়েছে কিনা অর্থাৎ সে জুতাটি ফ্যাশনেবল কিনা।
এইরে মেয়ে শিশুদের জন্য যে জুতোগুলি রয়েছে সেগুলো হচ্ছে প্রিন্সেস স্টাইল
স্যান্ডেল,রঙিন ফ্ল্যাট স্যান্ডেল,বেলি সু। প্রিন্সেস স্টাইল স্যান্ডেল এর
সুবিধা হলো এটি বাচ্চাদের পায়ে আরামদায়ক,
এবং এটি পায়ে কোনরকম অতিরিক্ত চাপ দিবে না।এটি শিশুদের জন্য খুবই সুবিধাজনক এজন্য যে তারা এটি সহজে পায়ে পরিধান করতে
পারবে। এটি উন্নত গ্রিব প্রযুক্তি হওয়ার কারণে এটি স্লিপ হওয়া থেকে প্রতিরোধ
করবে। এ জুতাটি গ্রীষ্মকালে এবং শীতকালেও পড়া যায়।
আরো পড়ুনঃ বিকাশ পেমেন্টে ঈদের কেনাকাটা
সামনে গরমকাল আসছে তাই এই জুতাটি গরমকালের জন্যও ব্যবহার করা যাবে। ঈদের জন্য এই
জুতাটি কেনা হলে ঈদ ব্যতীত অন্যান্য বিভিন্ন উৎসব যেমন জন্মদিন, বিয়ে সহ বিভিন্ন
ফেস্টিভ্যালে এ জুতা পরিধান করা যাবে। এছাড়াও মেয়ে শিশুদের নানারকম রং এর জুতা
এই ঈদে পাচ্ছেন।
এবার আসুন ছেলে শিশুদের জুতা তে। ছেলে শিশুদের জুতা হিসেবে লাইট ওয়েট
স্নিকার্স,স্টাইলিশ স্যান্ডেল, এবং স্পোর্টস সু নিতে পারেন। এবং আপনি যদি
ব্র্যান্ডের জুতা নিতে চান তাহলে বাবলগামারস,হাশ পাপিস,অ্যাপেক্স এবং বাটা কিডস
এই সমস্ত জুতা গুলো নিতে পারেন।
বর্তমান ট্রেন্ডিংয়ে শিশুদের জুতার রং হিসেবে সবুজ,নীল,মিন্ট,লাল,গোলাপি ইত্যাদি
জুতায গুলো চলছে। তাই ঈদে শিশুদের ফ্যাশন হিসেবে জুতা কিনতে চাইলে এই জুতাগুলো
আপনারা কিনতে পারেন।এবং আপনার বাচ্চার ঈদ করতে পারেন আরো আনন্দময়।
ঈদে ফ্যাশন হিসেবে নারীদের জুতা
নারীদের ফ্যাশনেবল জুতা ছাড়া ঈদ জমে না। প্রতিবারের মতো এবারও ঈদে নারীদের
জুতা হিসেবে থাকছে ব্লক হিল,এম্বেলিশড ও পেন্সিল হিল সহ নানা রকমের জুতা।
যেহেতু ঈদের পরই পড়ে যাবে অত্যাধিক গরম তাই অনেকেই এই জুতোগুলো পছন্দ না
করলে,
তাদের জন্য থাকছে খোলামেলা বিভিন্ন রকম ফ্লাট জুতার ওপর গ্লিটার বা স্টোন এর
ওপর কাজ করা স্যান্ডেল। এছাড়া রয়েছে স্লিপ-অন, স্লিপব্যাক হিল। যদি আপনি
ব্র্যান্ডের জুতা কিনতে চান তাহলে মুচি,অ্যাপেক্স নিনো রসি সহ নানা রকম
ব্র্যান্ডের জুতা পাওয়া যাচ্ছে।
আপনি আপনার খুশি মত যে কোন জুতা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দোকান থেকে অথবা আপনার
স্থানীয় সু শপ থেকে কিনে নিতে পারেন। অ্যাপেক্স এপেক্স এ নারীদের জুতা আপনি
পাবেন ৭০০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত।
আপনি আপনার নিজস্ব বাজেট অনুসারে বিভিন্ন রকমের জুতা ক্রয় করতে পারেন। এই
ক্ষেত্রে জুতা ফ্যাশন হিসেবে ব্যবহার করার জন্য মেয়েরা যে বিষয়টি খেয়াল
রাখতে হবে তাদের অন্যান্য জামাকাপড়ের সাথে জুতার রং এবং জুতার কোয়ালিটি
কতটুকু মিল হচ্ছে।
এই ঈদে ফ্যাশন হিসেবে বাটা থেকে আপনি পাচ্ছেন বিভিন্ন রং এর ক্রিস্টাল হিল
ছাড়াও আধুনিক আরামদের বিভিন্ন রকম জুতা। এ জুতা গুলো আপনি ঈদ ছাড়াও
অন্যান্য বিভিন্ন উৎসবে পরিধান করতে পারেন।
এবং বাটাতে এই জুতাগুলো দাম শুরু হচ্ছে ৪৯৯ টাকা থেকে ৫ হাজার ৯৯৯ টাকা
পর্যন্ত। নানারকম ব্যান্ডের ও নানারকম কোয়ালিটির জুতা দিয়ে ঈদকে করুন
আনন্দময় ও ফ্যাশনেবল। আপনার নির্দিষ্ট বাজেটের মধ্যে ইচ্ছামত কিনুন নানারকম
কোয়ালিটি সম্পন্ন ও নানা রঙের জুতা।
ঈদে ফ্যাশন হিসেবে পুরুষের জুতা
পুরুষেরা জুতার ব্যাপারে বেশ সৌখিন। তাই এই ঈদে ফ্যাশন হিসেবে
তাদের জন্য বিশেষ রকমের জুতা রয়েছে। ক্লাসিক ও আধুনিক ফিউশন ধারার
জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে পুরুষদের মধ্যে। ঈদে সাধারনতপুর অধিকাংশ
পুরুষ পাঞ্জাবি পড়েন।
আর এই পাঞ্জাবির সাথে মিল করে তারা করতে পারেন চামড়ার বিভিন্ন
স্যান্ডেল ও লোফার। ঈদে ঘোরাঘুরি করার জন্য লোফার বেশ উপযোগী। বন্ধুদের
সাথে ঘুরতে যাওয়ার জন্য নিকাস বা স্টাইলিশ মোকাসিন এর ব্যবহারও করতে
পারেন।
এই ঈদে ব্র্যান্ডের জুতা গুলোর মধ্যে নতুন জুতা হলো স্টারলাইট। এরকম
জুতোগুলো ম্যাচিং করে পড়তে চাইলে আপনার জুতার দাম শুরু হচ্ছে ৪৯৯
টাকা থেকে ১৬ হাজার ৯৯৯ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ওর ড্রেস সু, স্পোর্টস
স্নিকার্স,
চামড়ার স্যান্ডেল সহ নানারকম জুতাগুলো আপনি পেয়ে যাচ্ছেন ২৫০০ টাকা
থেকে ১৮০০০ টাকার মধ্যে। অনেক কিছুই দ্বিধার মধ্যে পড়েন চামড়ার জুতো
কিনতে চাইলে কোন রংয়ের জুতোগুলো কিনব।এই ঈদে ট্রেন্ডিং হিসেবে চামড়ার
জুতোর মধ্যে কালো ও বাদামী রঙের জুতা বেশি ব্যবহার হচ্ছে।
আপনি চাইলে এই দুটি রং বাছাই করে নিতে পারেন। এছাড়াও আপনি নিতে পারেন
স্পোর্টস স্নিকার্স যেগুলোর রং হবে হালকা। এবং স্পোর্টস স্নিকার্স গুলো
দেড় হাজার টাকা থেকে দাম শুরু হচ্ছে। এছাড়াও আপনি চাইলে বে-তে ২০০০
টাকা থেকে ১০ হাজার টাকার নানা ডিজাইনের জুতা পাবেন।
এ জুতোগুলো আপনার ঈদকে করবে ফ্যাশনেবল। এবং বাইরে ঘুরতে যেতে চাইলে এই
জুতোগুলো ট্রেন্ডিং হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। আপনার পাঞ্জাবির সাথে
ম্যাচিং করে আপনার রুচি মত বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ডের জুতা বিশেষ করে
চামড়া জুতাগুলো কিনতে পারেন।
ঈদে ফ্যাশন হিসেবে সাধারন নকশা ও উজ্জ্বল রং করা ব্যাগ
নারীদের ক্ষেত্রে ঈদের ফ্যাশন হিসেবে ব্যাগের জুরি মেলা ভার। তাদের
অর্ধেক সৌন্দর্য যেন ধরে রাখে ফ্যাশনেবল ব্যাগ গুলো। এই ঈদে ফ্যাশনেবল
ব্যাগ গুলোর মধ্যে প্রথমেই যেটি রয়েছে সেটি হল সাধারণ নকশা ও উজ্জ্বল রং
করা ব্যাগগুলো। অনেকেই সাধারণ জিনিস পছন্দ করেন।
সাধারণ নকশা করা জিনিস পছন্দ করেন। ব্যাগ এর ক্ষেত্রেও তাই তারা সাধারণ
নকশা করা ব্যাগ পছন্দ করে থাকেন। তাদের জন্য এই ঈদে রয়েছে নানা রকম
সাধারন নকশা উজ্জ্বল রং করা ব্যাগ। এই ঈদে ফ্যাশন হিসেবে ব্যাগের
ট্রেন্ডিং এ ডিজাইনের চেয়ে উজ্জ্বল রং গুলোকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া
হচ্ছে।
ঈদে ফ্যাশন হিসেবে সাধারণ নকশা ও উজ্জ্বল রং করা ব্যাগ গুলোর মধ্যে
রয়েছে সবুজ,লাল, নেভি ব্লু,হলুদ,বিটার চকলেট ও গোলাপি রঙের ব্যাগগুলো।
এছাড়াও সাধারন নকশার মধ্যে রয়েছে ট্যান, কালো,বাদামি রঙের ব্যাগ
গুলো।
আরো পড়ুনঃ ফিলিস্তিন নিয়ে কিছু কথা
খুব সাধারন নকশার মধ্যে এই রঙের ব্যাগগুলো আপনি এই ঈদে ব্যবহার করতে
পারেন। এই ব্যাগগুলো আপনি চাইলে আপনার ঈদের ড্রেসের সাথে ম্যাচিং করে
নিতে পারেন।অথবা আপনি চাইলে আপনার জুতার সাথে ম্যাচিং করে নিতে
পারেন।
সাধারণ নকশার মধ্যে হরেক রকম রং এর ব্যাগগুলো আপনার ঈদকে আকর্ষণীয় ও
ফ্যাশনেবল করে তুলবে। বাহিরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য এই ব্যাগগুলো বেশ উপযোগী।
এই ব্যাগগুলো আপনি আপনার বাড়ির কাছাকাছি বাজারে যেকোনোদোকান থেকেই পেয়ে
যেতে পারেন।এবং আপনি চাইলে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দোকানে গিয়েও এই ব্যাগগুলো
পেয়ে যেতে পারেন।
ঈদে ফ্যাশন হিসেবে মিডি বহুমুখী ব্যাগ
মিডি ব্যাগ বলতে বোঝাচ্ছে মাঝারি আকারের ব্যাগ গুলোকে। এই ঈদে সবচেয়ে
বেশি যে ব্যাগগুলো চলবে সেটি হচ্ছে মিডি ব্যাগ। মিডি ব্যাগ গুলোর মধ্যে
আপনি এই ঈদের ফ্যাশন হিসেবে কিনতে পারেন হোবো ব্যাগ, ইস্ট-ওয়েস্ট ব্যাগ,
স্লিং ব্যাগ এবং অর্ধ চন্দ্র ব্যাগ।
এই ব্যাগগুলো বেশ ফ্যাশনেবল এবং বর্তমানে মহিলারা এই ব্যাগগুলোই বেশি
ব্যবহার করে থাকেন। এই ঈদেও আপনি ফ্যাশন হিসেবে এই ব্যাগগুলো ব্যবহার
করতে পারেন। এছাড়াও আপনি ব্যবহার করতে পারেন স্লাউচি ক্লাচ ব্যাগ। এই
ব্যাগটি মাঝারি আকৃতির এবং নরম তুলতুলে।
আকার মাঝারি হলেও এই ব্যাগগুলো বেশ কার্যকরী অর্থাৎ এগুলো আপনার বহনে
সহায়তা করবে পাশাপাশি আপনার ফ্যাশন কেউ বাড়িয়ে দিবে এবং আকর্ষণীয় করে
তুলবে। এই ব্যাগগুলোতে করে আপনি আপনার কসমেটিকস, হ্যান্ড ফোন,
ছোট ছোট নানা প্রয়োজনীয় জিনিস সহ নানা রকম জিনিস রাখতে পারবেন।
নানারকম ব্র্যান্ডের যেসব ব্যাগ রয়েছে সেই ব্যাগের ডিজাইনেও এই ব্যাগ
ব্যবহার করা হচ্ছে। যারা আমরা খুব বড় সাইজের ব্যাগ পছন্দ করি না
পাশাপাশি ফ্যাশন হিসেবে ব্যাগ রাখতে চাই,
তারা এই মিডি সাইজের বহুমুখী ব্যাগ গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই ব্যাগের
ফ্যাশন ও ডিজাইনগুলো আপনি আপনার ঈদের জামা ও জুতার সাথে ম্যাচিং করে
কিনতে পারেন। ব্যাগগুলো আপনার ফ্যাশনকে আরো বাড়িয়ে দেবে এবং আকর্ষণীয়
করে তুলবে। সাহায্য করবে আপনার ঈদ কে সুন্দর করে তোলার।
ঈদে ফ্যাশন হিসেবে আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের মিশ্রনে তৈরি ব্যাগ
আপনি এই ঈদে যদি ব্যাগ কে ফ্যাশন হিসেবে নিতে চান এবং
পাশাপাশি চান যে ঐতিহ্য ধরে রাখতে তাহলে এই ঈদে আপনার জন্য থাকছে
নানা রকমের ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সংমিশ্রণে নানা রকমের ব্যাগ।এই ঈদকে ফ্যাশনেবল ও মানানসই করার জন্য,
ব্যাগ কে ঐতিহ্য আধুনিকতার মিশ্রণ দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। জম কালো
পুতির কাজ, হাতের কাজ, ধাতব ডিজাইনের ব্যাগ গুলো থাকছে এই ঈদে ফ্যাশন
হিসেবে। এ কাজগুলো যেমন ঐতিহ্য বহন করছে তেমনি ঈদের ফ্যাশন হিসেবে
সাহায্য করছে।
ঐতিহ্যের মিশ্রনে নতুন হিসেবে এই ঈদে থাকছে সিল্ক, জামদানি এবং কাঁথা
স্টিচের কাপড়ের ঐতিহ্যবাহী ব্যাগ গুলো। সিল্ক জামদানি এই কাপড় গুলো
আমাদের ঐতিহ্যের প্রতীক। এই কাপড়গুলো ব্যাগ হিসেবে ব্যবহারে একদিকে
যেমন ফ্যাশন হচ্ছে,
আবার আমাদের ঐতিহ্যকেও ধরে রাখছে। এছাড়া এই ঈদে নতুন হিসেবে আরো থাকছে
জুট ফেব্রিক এর ওপর হাতে পেইন্ট করা ব্যাগ। এই ব্যাগগুলো আপনি এই ঈদে
ফ্যাশন হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।এবং আপনি চাইলে আপনার শাড়ি,থ্রি পিস
,
অথবা অন্যান্য ঈদের পোশাকের সাথে ম্যাচিং করে এই ব্যাগগুলো ব্যবহার
করতে পারেন। ঐতিহ্য ও আধুনিকতা এক করে এই ব্যাগগুলো ব্যবহার করা যায়।
আপনি আপনার ইচ্ছা মতো রং ও ডিজাইন বেছে নিয়ে ব্যাগ গুলো কিনতে পারেন।
ঈদে ফ্যাশন হিসেবে পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ
আমরা যারা পরিবেশ সচেতন তারা মানসিক ভাবেই দৈনন্দিন জীবনে এমন সব
জিনিস ব্যবহার করতে চায় যেগুলো পরিবেশবান্ধব হবে। ব্যাগ এর
ক্ষেত্রেও সেটি ব্যতিক্রম নয়। অনেকেই চায় তার দৈনন্দিন জীবনে
ব্যবহার যোগ্য জিনিসগুলো যেন পরিবেশ বান্ধব উপকরণ দ্বারা তৈরি
হয়।
তাদের জন্য এই ঈদে থাকছে পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ। এই ব্যাগগুলো তৈরি
হয়েছে বাঁশ এর ফাইবার, পুনর্ব্যবহৃত কাপড়,কর্ক,শাড়ি,পুরনো ডেনিম
ইত্যাদি। এই ব্যাগগুলো পুরনো জিনিস দিয়ে তৈরি বা হলেও এগুলো দেখতে
বেশ ফ্যাশনেবল আকর্ষণীয়। বর্তমানে এই ব্যাগগুলোর চাহিদা ও বেশ
রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ আরবি ১২ মাসের নাম ও ক্যালেন্ডার ২০২৫
পরিবেশ সচেতন মানুষের জন্য এই পরিবেশ বান্ধব ব্যাগগুলো বেশ উপযোগী।
এই ব্যাগগুলো পরিবেশ সচেতন মানুষের বেশ পছন্দ হবে। এবং এই ঈদে এই
ব্যাংকগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে তারা নিজেদের রুচি অনুযায়ী ঈদকে
আকর্ষণীয় করার পাশাপাশি ঈদকে ফ্যাশনেবল করে তুলতে পারবেন।
ঈদে ফ্যাশন হিসেবে মেটালিক ও গ্লসি ফিনিশ ব্যাগ
অনেকে চান এমন সব ব্যাগ কিনতে যেগুলো ঈদে ব্যবহার করা যাবে আবার
বিভিন্ন দাওয়াত বা উৎসবের জন্য সেই সব ব্যাগগুলো ব্যবহার করা
যাবে। তাদের জন্য এই ঈদকে আরো বেশি জমকালো করতে কেউ মেটালিক শেড
ও গ্লসি ফিনিশড ব্যাগগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।বরুপালী, সোনালী,
রোজ গোল্ড ও ব্রোঞ্জ রং এর ব্যাগ গুলো এখন বেশ ট্রেন্ডিংয়ে
আছে।
এই ব্যাগগুলোর মাধ্যমে আপনি ঈদে যেমন নিজেকে ফ্যাশনেবল করতে
পারবেন তেমনি পরবর্তীতে যেকোনো দাওয়াত উৎসব এ যাওয়ার জন্য এই
ব্যাগগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। এই ব্যাগগুলো একসাথে আপনার ঈদ ও
পরবর্তী যেকোনো উৎসবকে মানানসই ও আকর্ষণীয় গড়ে তুলবে। এ যেন এক
ঢিলে দুই পাখি। আপনি চাইলেই এই ব্যাগ গুলোও এই ঈদে ব্যবহার করতে
পারেন।
ঈদে ফ্যাশন হিসেবে জুতা ও ব্যাগ এর গুরুত্ব
ধর্মীয় উৎসব হিসেবে ঈদ যেমন গুরুত্বপূর্ণ এই ঈদকে আকর্ষণীয়
ফ্যাশনেবল করে তোলা মানুষের খুশির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষ জন ঈদকে কেন্দ্র করেই নানা রকম
কেনাকাটা করে থাকে এবং নিজেকে নানান সাজে সাজিয়ে থাক।
এই সাজ হতে পারে নানা রকম জামা কাপড় দিয়ে। কিন্তু সেই সাজের
পরিপূর্ণতা এনে দেয় জুতা। এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণতা এনে
দেয় তাদের ব্যাগ। জুতা ছাড়া নতুন ঈদ নতুন ভাবে জমেই না। বিশেষ
করে ছেলেরা বাইরে ঘোরাঘুরি করতে যায়।
পাঞ্জাবি এবং বাইকের সাথে ম্যাচিং করে জুতা না পড়লে তাদের ঈদ
অপূর্ণ থেকে যায়। মেয়েদের ক্ষেত্রেও তাই ঈদে বাইরে ঘোরাফেরা
করতে গেলে ফ্যাশনেবল ব্যাক ছাড়া তাদের ফ্যাশন অপূর্ণ থেকে যায়।
ঈদের অন্যান্য সাজের সাথে ব্যাগ ও জুতার সম্পর্ক যেন মুদ্রার
এপিঠ ওপিঠ।
মন্তব্যঃ ঈদে ফ্যাশন হিসেবে জুতাও ব্যাগ
ঈদকে ফ্যাশনেবল আকর্ষণীয় করতে আপনারা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ও
বিভিন্ন রঙের জুতা ও ব্যাগ গুলো ব্যবহার করতে পারেন। সবাই নিজ
নিজ রুচি ও ইচ্ছা এবং বাজেট অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন জুতা ও ব্যাগ
কিনতে পারেন।ট্রেন্ডিং ফলো করে বেশিরভাগ মানুষই ঈদে বাজার করে
থাকে।
তাই এই ঈদেও আপনি আপনার ইচ্ছেমতো ট্রেনিং ফলো করে ঈদের
কেনাকাটায় এই সমস্ত জুতা ও ব্যাগ রাখতে পারেন। বাংলাদেশের
নানা রকম ব্র্যান্ডের জুতার কোম্পানিগুলো এই সমস্ত জুতা বিক্রি
করে থাকে এবং নানা অফারও দিয়ে থাকে।
তার পাশাপাশি ব্যাগগুলো আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দোকান থেকে
পেতে পারেন। আপনি আপনার সুবিধা মত অফার বেছে নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন
দোকান ও ব্র্যান্ডের শোরুম থেকে এ সমস্ত জুতা ও ব্যাগ
কিনতে পারেন। এবং আপনার ঈদ কে আনন্দময় করতে পারেন।
আমিন একটিভ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url